খুলনায় ঠিকাদারের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত লামিয়ার শরীর থেকে ঘটনার একদিন পরও গুলির স্প্লিন্টার বের করা যায়নি। অসহ্য যন্ত্রণায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছে লামিয়া।
শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরীর মিস্ত্রীপাড়া বাজারের আরাফাত জামে মসজিদের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল লামিয়া। সে খুলনার সরকারি ইকবালনগর বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র ঘোষ জানান, লামিয়াকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তির পর যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্থপেডিক বিভাগে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে। ওই বিভাগের চিকিৎসকরাই এখন সিদ্ধান্ত নেবেন অস্ত্রোপচার হবে কি না।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অর্থপেডিক বিভাগের প্রধান ডা. মেহদী নেওয়াজ বলেন, লামিয়ার হিপজয়েন্টে গুলিটি বিদ্ধ হয়েছে। এমআরআই রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে গুলিটি বের করা হবে কিনা।
তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ স্থানটি একটু জটিল। এ জন্য ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।
জানা যায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে লামিয়া বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়েছিল। এমন সময় বিপরীত পাশে ইউসুফ খাঁর বাড়ির দিক থেকে পিস্তলের একটি গুলি তার হিপজয়েন্টে বিদ্ধ হয়। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, লামিয়ার গুলিবিদ্ধ ঘটনায় যে অস্ত্রটি ব্যবহৃত হয়েছে সেটি জব্দ করা হয়েছে। এর লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে শনিবার দুপুর সোয়া দুইটা পর্যন্ত লামিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই