শেরপুর ময়মনসিংহ ৬৯ কি.মি. মহাসড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সরু অবস্থায় রয়েছে।এই সরু সড়ক দিয়ে শেরপুর-কুড়িগ্রাম-জামালপুর ও ময়মসিংহের (হালুয়াঘাট) একাংশের মানুষের যাতায়াত। জেলায় রেল লাইন নেই বলে কৃষি সমৃদ্ধ খাদ্য উদ্বৃত্ত এই অঞ্চলের পণ্য এই সড়ক দিয়েই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আনা নেওয়া করা হয়। রাস্তা সরু হওয়াতে যানজট ও ধীরে ধীরে গাড়িগুলো চলাচল করতে হয় বলে সময়ও লাগে বেশি। আর দুর্ঘটনাতো লেগেই থাকে। বর্তমানে এই রাস্তার প্রস্থ ১৮ ফিট। আজ বুধবার থেকে রাস্তার প্রস্থ ৩৪ ফিট করতে কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এই রাস্তাটির প্রস্থ ডাবল করতে দেড় দুই বছর লাগবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এই সড়কের প্রস্থ ডাবল হয়ে গেলে এই অঞ্চলের যোগাযোগে নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এই রাস্তা করতে সরকারের অর্থ ব্যয় হবে প্রায় ৮শ কোটি টাকা। শেরপুর থানা মোড় থেকে শেরপুরের সড়ক বিভাগ নকলা উপজেলার (শেরপুর অংশ) সীমান্ত বাঁশহাটি পর্যন্ত ৩০ কি.মি. রাস্তা করতে খরচ হবে প্রায় ৩শ কোটি টাকা।
ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগ বাঁশহাটি ফুলপুর থেকে ময়মনসিংহ চীন বাংলাদেশ মৈত্রী ব্রিজ পর্যন্ত ৩৯ কি.মি. রাস্তা করতে খরচ হবে বাকি প্রায় ৫শ কোটি টাকা। শেরপুর ও ময়মনসিংহ এই দুই অংশের কাজ এক সাথে শুরু ও শেষ করতে সরকারের সড়ক বিভাগ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। গাড়ি চালকরা জানিয়েছে, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণ শেষ হলেই শেরপুর- ময়মনসিংহে আসা যাওয়ায় নময় লাগবে বড় জোড় দুই ঘন্টা। বর্তমানে এই ৬৯ কি.মি. রাস্তায় আসা যাওয়ায় সময় অন্তত ৫ ঘন্টা।
একদিকে সময় কম লাগবে আবার গাড়ির ভাড়াও কমে যাবে। কমবে পণ্য আনা নেওয়ার খরচ। কাজের (একাংশ) ঠিকাদার মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লি. এর স্বত্বাধিকারি মাসুদ রানা বলেছেন, কাজ শুরু হয়ে গেছে। কোন বাধা বিপত্তি না থাকলে সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
শেরপুর সড়ক ও জনপথ এর নির্বাহী প্রকৌশলি খন্দকার মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, এই রাস্তার কাজটি শুরু নিঃসন্দেহে এই এলাকার মানুষের জন্য মাইল ফলক। সরকারের বিশাল উন্নয়নের অংশ হিসেবে এই কাজটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে করা হবে।
শেরপুর সদর আসনের এমপি ও সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উপহার এলাকার মানুষ চির স্মরণীয় করে রাখবে। রাস্তা ডাবল হওয়াতে সীমান্ত শেরপুরে শিল্পায়ন হবে শেরপুরের পর্যটনেও বাড়বে মানুষের ভিড়। মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এটি নিঃসন্দেহে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাইল ফলক।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন