মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শশীকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় ও ডি কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমি অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিপাকে পড়ছেন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের অভিভাবকরা।
অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কারণে তাদের ছেলে-মেয়েকে কলেজে ভর্তি করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ছেলে-মেয়েদের কলেজে ভর্তি করা নিয়ে সংকটে পড়েছেন।
অনেকে টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন গরিব অভিভাবকরা। মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে আবেদনের ভিত্তিতে ফল প্রকাশের পর ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মনোনীত কলেজে ভর্তি হতে পারবে। সে অনুযায়ী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। নীতিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ফি বাবদ মফস্বলে সবমিলিয়ে ১ হাজার টাকা নেওয়ার বিধান রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের।
অথচ উপজেলার শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় সরকারি নীতিমালা না মেনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোট ২ হাজার ৫২৫ টাকা আদায় করছেন। এ ছাড়া একই উপজেলার ডি কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমি অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আদায় করছেন।
সরকার করোনা মহামারি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে এবার কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এরই মধ্যে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড নীতিমালার একটি নোটিস জারি করেছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মফস্বলে পৌর (উপজেলা) এলাকার এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেসন চার্জ ও ভর্তি ফিসহ সবমিলিয়ে ১ হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদরে) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।
ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী পার্থ অধিকারী, শোভন হালদার, সৌরভ ও মিথুন মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আমাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে নিয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ।
শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দ বাড়ৈ বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি-১ হাজার, উন্নয়ন ফি-১ হাজার ৫০০ ও রেডক্রিসেন্ট ফি বাবদ-২৫ টাকাসহ মোট ২ হাজার ৫২৫ টাকা আদায় করেছি। তবে আমি সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করেই ফি আদায় করছি।
এ ব্যাপারে মহাবিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, নীতিমালায় উন্নয়ন ফি নেওয়ার কথা উল্লেখ না থাকলে, আমরা শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিয়ে দেব।
ডি কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমি অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. একরাম হোসেন বলেন, কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশক্রমে আমি ২ হাজার ৫০০ করে টাকা নিচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই