করোনাকালে পাল্টেছে সেবার মান। পুরনো দিনের নানা অনিয়ম-দুর্নাম ঘুচিয়ে সাধারণ রোগীদের ভরসাস্থলে পরিণত হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন শত শত সাধারণ রোগী অনায়াসে পাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। রোগীদের তাৎক্ষণিক দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরামর্শ। এছাড়া সপ্তাহে তিন দিন নেওয়া হচ্ছে করোনা পরীক্ষার নমুনা। আক্রান্তদের জন্য রয়েছে বিশেষ আইসোলেশর ওয়ার্ডও।
সেবা নিশ্চিতে সিসিটিভির মাধ্যমে পুরো হাসপাতালের প্রত্যেকটি বিভিাগ নিয়মিত মনিটরিং করেন হাসপাতাল প্রধান।
সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড়। জ্বর-সর্দি ও অন্যান্য রোগ নিয়ে আসা মানুষের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। তাদের একযোগে সেবা দিচ্ছেন বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চারজন ডাক্তার। সাধ্যমতো দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যের সরকারি ঔষধও। এসময় ভোগান্তি ছাড়া চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ পাচ্ছেন কি না? জানতে চাইলে, সুুফিয়া বেগম নামের একজন জানান, আগের তুলনায় এখন সহজেই চিকিৎসা পাচ্ছি। তবে ঔষধ পুরোপুরি পাচ্ছিনা। কিছু বাহির থেকে কিনে নিতে হচ্ছে।
ওদিন হাসপাতালের ইনডোরে ভর্তি ছিলেন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ৯জন সাধারণ রোগী। ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সেই আগের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এখন আর নেই। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিশ্রাম নিচ্ছেন রোগীরা। তাদের কথা হলে তারা জানান, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষনে থেকে চিকিৎসা-ঔষধ ও নিয়মানুযায়ী খাবার পাচ্ছেন তারা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা প্রার্দূভারের শুরু থেকেই সরকারি নির্দেশনানুযায়ী হাসপাতালে সেবা দেয়ার পাশাপাশি ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। এক পর্যায়ে একে একে আক্রান্ত হন হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ও একাধিক স্বাস্থকর্মী। তবুও ভিন্ন পন্থায় অব্যাহত থাকে সকল সেবা কার্যক্রম। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে আসলে গেল ২০-২৫ দিন থেকে আবারো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে সকল কার্যক্রম। এখন ৪০০-৪৫০জন রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের অধিকাংশই সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত। আবার কেউ চাইলে মাত্র ১০০ টাকায় করোনা পরীক্ষার জন্যে নমুনাও দিতে পারছেন। প্রতি সপ্তাহের শনিবার, সোমবার ও বুুধবার নমুনা নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা করোনা জয়ী ডা. আবদুর রহমান মূসা ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, যন্ত্র ও জনবলের ঘাটতি আছে। তবুও অসঙ্গতি কাটিয়ে আমরা চেষ্টা করছি দরিদ্র মানুুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল