২৬ অক্টোবর, ২০২০ ১৫:৪৩

ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পরিবারকে সমাজচ্যুত, সর্দারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পরিবারকে সমাজচ্যুত, সর্দারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

হেবজু মিয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পরিবারকে সমাজচ্যুত করার অভিযোগে বিশারাবাড়ীর গ্রাম্য সর্দার হেবজু মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা। গত শনিবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে তিনি এই অভিযোগ দায়ের করেন। কসবা থানায় করা অভিযোগ নং-১০৭৪।

উপজেলার বিশারবাড়ী মসজিদের ইমাম ওবায়দুল হক (৫০) এর নিকট এক মাদরাসা ছাত্রীকে কোরআন শিখতে দেওয়া হয়েছিল। ইমাম বিভিন্ন কৌশলে কুফুরি করে তার বাবা-মাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হলে ইমাম তাকে ফুসলিয়ে গর্ভপাতের ঔষধ খাওয়ায়। এতে তার মৃত বাচ্চা প্রসব হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মসজিদের ইমামকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে হেবজু মিয়া সর্দারসহ কয়েকজন সর্দার।

হেবজু সর্দারের নেতৃত্বে সালিশের মাধ্যমে সমাজচ্যুত করে একঘরে করা হয় ছাত্রীর পরিবারকে। ছাত্রীর বাবা এ ঘটনায় কসবা থানায় অভিযোগ দেন। পরে তিনি ন্যায় বিচারের আশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে মামলা করলে আদালত পিবিআইকে সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশনা দেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান পিবিআই পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন।

এদিকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ওবায়দুল্লাহকে গ্রেফতারসহ ও ছাত্রীর পরিবারকে সমাজচ্যুত করার নির্দেশদাতাকে গ্রেফতারের দাবিতে কসবা সচেতন নাগরিক সমাজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা পরিষদ মানববন্ধন করে এবং পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি স্বাতী চৌধূরী জানান, সেই ছাত্রীর সকল প্রকার দায়িত্ব নিয়েছেন মহিলা পরিষদ। তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার অধিকার কেউ রাখে না। এটা সম্পূর্ন সংবিধান বিরোধী। তাই সমাজচ্যুত করার নির্দেশদাতাকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, বিশারাবাড়ীর ধর্ষণ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবারকে সমাজচ্যুত করার বিষয়ে হেবজু সর্দারের নামে অভিযোগ এসেছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর