গাজীপুরের টঙ্গীতে নিজ বাসা থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম মানছুরা আক্তার আঞ্জুরা (২১)। সে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার জাগির গ্রামের মোছলেম উদ্দিনের মেয়ে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর মর্গে প্রেরণ করেন। মঙ্গলবার রাতে মরকুন মধ্যপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নয়ন মিয়া, তার বড় বোন সোলেমা আক্তার, ও ছোট ভাই এরশাদকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানান, মানছুরা একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ঘটনার রাতে পাশ্ববর্তি ভাড়াটিয়ারা তাদের নিজ কক্ষের মেঝেতে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় নিহতের লাশ দেথতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের পিতা জানান, গত এগারো মাস পূর্বে একই জেলা বদি গ্রামের কমল ফকিরের ছেলের সঙ্গে সত্তর হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে স্বামী নয়ন ফের বিশ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিলো। এ টাকা নিয়ে ঘটনার দিন বিকেলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে টাকা না আনলে আমাকে মেরে ফেলবে বলে আমার মেয়ে আমাকে ফোনে জানায়। পরে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আমার মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ দিলে থানায় আসি।
টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার