ফরিদপুরে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। ওই মিছিল থেকে পুলিশ জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নয়জন গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কে জেলখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি করেছে আসন্ন ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন বানচাল করার জন্য যুবদল সড়কে যান বাহন চলাচলে বাধা দান ও যানবাহন ভাঙচুরের উদ্যোগ নিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, ঢাকা-৯ ও পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় যুবদল । এরই অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা যুবদল। মিছিলটি ফরিদপুরের কোর্ট চত্বর থেকে শুরু হয়ে মুজিব সড়ক দিয়ে জনতা ব্যাংকের মোড়ের দিকে এগুতে থাকে। মিছিলটি জেলা কারাগারের প্রধান ফটক পার হওয়ার সময় পুলিশ ওই মিছিলে হামলা চালিয়ে যুবদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে।
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজীব হোসেন (৪০), সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৯), সহসম্পাদক আলী মোহাম্মদ (২৯), শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম মাহমুদ (৪০) রযেছেন। যুবদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অন্য যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা হলেন মো. ওমর ফারুক (৩২), ফয়সাল সর্দার (৩১), মো. রাজীব (২৫), এসএম আজমল হোসেন (৩৫) ও সরল ইসলাম (২২)।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, আসন্ন ফরিদপুর পৌসসভার নির্বাচনকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে যুবদলের নেতাকর্মীরা সড়কে নেমে যানবাহন চলাচলে বাধা প্রদান ও যানবাহন ভাঙচুরের উদ্যোগ নেয়। পুলিশ তাদের এ কাজে বাধা দিলে তারা মারমুখী হয়ে ওঠে। ওই সময় পুলিশ ওই নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে। তাদের বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তবে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা বলেন, এটি ছিল যুবদলের দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। তাছাড়া ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী নিয়ে অংশ নিচ্ছে। তাই এ নির্বাচন বানচাল কেন যুবদল করবে?
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন