নেত্রকোনার পূর্বধলায় ভুল চিকিৎসায় জোনাকি নামে ১০ মাসের এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গোলাম মোস্তফাকে থানা হেফাজতে নিয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্বধলা উপজেলা সদরের হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন মা নামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
শিশু জোনাকি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ভিতরগাঁও গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশু জোনাকির মাথায় একটি টিউমার অপারেশনের জন্য বিকেলে তার বাবা মা নামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গোলাম মোস্তফার চেম্বারে নিয়ে যায়। সেখানে বিকেল ৫টার দিকে গোলাম মোস্তফা শিশুটির টিউমার অপারেশনের জন্য শিশুর মাথায় লোকাল এনেসথেসিয়া দেন। সাথে সাথে শিশুটির খিচুনি শুরু হয়। পরে তাৎক্ষণিক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শিশু জোনাকির বাবা জাহাঙ্গীর বলেন, গত ৫ মাস আগে তার শিশুর মাথায় একটি টিউমার আকৃতির মতো দেখা দিলে আজ বিকেলে গোলাম মোস্তফার চেম্বার নিয়ে আসেন। সেখানে ওই টিউমার অপারেশনের জন্য ডাক্তারের সাথে ১ হাজার ৫০০ টাকায় চুক্তি করেন। এরপর ডাক্তার ইনজেকশন দিতেই তার মেয়ের খিচুনি শুরু হয় ও তাৎক্ষণিক সে মারা যায়। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
পূর্বধলা হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার ওয়াহিদুর রহমান মামুন জানান, শিশুটিকে লোকাল এনেসথেসিয়া দেওয়ার পর তার খিচুনি শুরু হয়। পরে ডা. গোলাম মোস্তফা তাকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় নার্স রুমে নিয়ে অক্সিজেন দেন। তাৎক্ষণিক আমি জরুরি বিভাগ থেকে দ্বিতীয় তলায় গিয়ে শিশুটিকে মৃত দেখতে পাই।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফাকে থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই