শ্রীমঙ্গলে পুন:নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন-১২২৩ এর শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার শ্রমিকরা (একাংশ)। শনিবার রাতে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য দেন আবু কামাল খায়রুজ্জামান। গত ১৮ নভেম্বর তাদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই নির্বাচনে তিনি সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
তিনি বলেন, ভোট গণনার পর নির্বাচন কমিশনার রাত সোয়া দুইটায় ঘটিকায় প্রহসনের ফলাফর ঘোষণা করেছেন। তারা পরাজিত প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণা করেননি। ফলাফলে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টের স্বাক্ষরও নেয়া হয়নি। এছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে বেসরকারি ব্যক্তিকে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী তফশীল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনার ইচ্ছা মতো ভোটার তালিকা সংশোধন করেন। একই ভোটারকে একাধিকবার ভোটার তালিকায় নাম উঠানো হয়েছে। নির্বাচনে এসব অনিয়মের জন্য তারা পুননির্বাচনের দাবিতে গত ১৯ নভেম্বর শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন-১২২৩ এর সভাপতি ফজলু আহমেদ। আর সচিবের দায়িত্বে ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমদ। প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন কুলাউয়ার মামুনুর রশিদ মানুন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ আলী, রুপন মিয়া, সম্পাদক প্রার্থী মোজাহিদুর রহমান ফটিক, অর্জুন দাশ, সহসম্পাদক বাবুল দুসারসহ নির্বাচনে অংশ নেয়া অনান্য পদের প্রার্থীরা।
শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাহীদুর রহমান বলেন, 'তাদের গঠনতন্ত্রে বলা আছে শ্রমিক পরিবহনের শাখা কমিটির নির্বাচন কার্যক্রম তাদের জেলা কমিটি করবে। আমি পুন:নির্বাচনের আবেদন পেয়ে জেলা কমিটিকে বিষয়টা দেখার জন্য বলেছি।' মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন-১২২৩ এর সভাপতি ফজলু আহমেদ বলেন, 'সংবিধানে পুন:নির্বাচন দেয়ার নিয়ম আছে কিনা দেখে বলতে হবে।'
বিডি-প্রতিদিন/শফিক