১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:৪০

খাবার খাইয়ে ম্যারাডোনা ভক্তের শোক ভাঙাল ক্রীড়া সংস্থা

নাটোর প্রতিনিধি

খাবার খাইয়ে ম্যারাডোনা ভক্তের শোক ভাঙাল ক্রীড়া সংস্থা

ম্যারাডোনা মুখে খাবার তুলে দেন ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।

কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশি ভক্তদের কাছেও ম্যারাডোনার মৃত্যুতে চলছে শোকের মাতম। নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার তেমনই এক ভক্ত রুহুল আমিন সরকার বাবু।

তার প্রিয় ফুটবলার ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ভাত, মাছ ও মাংস খাওয়া বন্ধ রেখে গত বুধবার থেকে ৭ দিনের শোক পালন করেন। উপজেলার বিহারকোল বাজারের একটি মুদি দোকানের স্বত্বাধিকারী তিনি।

সাত দিন পর শোক পালনের খবরে ছুটে এসে সেই ভক্ত রুহুল আমিনের শোক ভাঙাল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা। মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় বিহারকোল বাজারে তার মুখে খাবার তুলে দিয়ে ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার তার শোক কর্মসূচির ইতি টানেন।

এদিকে, শোক পালনের শেষ দিনে রুহুল আমিন সরকার বাবু ম্যারাডোনার আত্মার শান্তি কামনায় ভিক্ষুকদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং স্থানীয় ক্রিড়াপ্রেমীদের ভোজনের আয়োজন করেন।

ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, ফুটবল তারকা ম্যারাডোনার মৃত্যুতে সাত দিন থেকে তিনি ভাত, মাছ ও মাংস খাওয়া বন্ধ রেখে শোক পালন করছেন। এসময় শুধুমাত্র শুকনো খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নিজের হাতে ভক্ত বাবুর মুখে খাবার তুলে তার শোক কর্মসূচির সমাপ্তি টানেন।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা দেখে রুহুল আমিন সরকার বাবু ম্যারাডোনার ভক্ত হয়ে পড়েন। গত বুধবার তার প্রিয় ফুটবলার ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ভাত, মাছ ও মাংস খাওয়া বন্ধ রেখে সেদিন থেকে ৭ দিনের শোক পালন করেন। এসময়ে তিনি কালো ব্যাজ ধারণ, তার মুদি দোকানে শোক পালনের ব্যানার, কালো পতাকা এবং আর্জেন্টিনার পাতাকা উত্তোলন করেন। 

একই সাথে সবার ওপরে বাংলাদেশের জাতীয় পাতাকাও উত্তোলন করে রাখেন। এছাড়াও প্রত্যেক বিশ্বকাপের সময় দোকান থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার আর্জেন্টিনার পতাকা টানেন। প্রজেক্টরের মাধ্যমে খেলা দেখার ব্যবস্থা করা ছাড়াও আর্জেন্টিনার ম্যাচের দিনে তিনি দর্শকদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করতেন।

এ বিষয়ে রুহুল আমিন সরকার বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যারাডোনা চিরদিন তার মতো ভক্তের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

স্থানীয় তারিকুল ইসলাম টিটু বলেন, ম্যারাডোনার প্রতি নজিরবিহীন ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাবুকে আর্জেন্টিনায় নিয়ে ম্যারাডোনার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ করে দিতে এবং আগামীতে আর্জেন্টিনায় অন্তত একটি ফুটবল ম্যাচ সরাসরি মাঠে বসে দেখার ব্যবস্থা করতে দেশটির সরকার ও রাষ্ট্রদূতের প্রতি অনুরোধ জানান।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর