ফেনীর ফুলগাজীতে স্ত্রী ও দুই শ্যালিকাকে বিধবা দেখিয়ে ভাতা গ্রহণের অভিযোগে উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (জগতপুর) ইউপি সদস্য কামরুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তিনদিনের মধ্যে উত্তর দিতে আদেশ দিয়েছেন ফুলগাজী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম জানান, তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়, ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান ফুলগাজী উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি দরবারপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক। দরবারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে যারা বিভিন্ন ভাতা পান, তারা সবাই তার পছন্দের লোক বলে অভিযোগ আছে।
কামরুজ্জামান তার নিজ স্ত্রী সালমা তাহিনুর ও দুই শ্যালিকা উম্মে রুমান ও উম্মে কুলসুমের স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতা গ্রহণ করতেন। তাছাড়া তিনি নিজের ছেলে নাভিদুল হাসানের পরিচয় গোপন করে গ্রহণ করেন প্রতিবন্ধী ভাতা।
এখানে শেষ নয়, তিনি তার স্ত্রীর বড় ভাই আনিসুজ্জামানের নামে প্রতিবন্ধী ভাতা, শ্বশুর নুরেজ্জামান ও শাশুড়ি বিবি আয়েশার নামে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বয়স্ক ভাতার।
এ ব্যাপারে কামরুজ্জামান জানান, ওয়ার্ডের সব প্রাপ্য লোকদের ভাতার কার্ড দেওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের জন্য তিনি ভাতার কার্ড গ্রহণ করেছেন।
নিজের ছেলেকে কেন প্রতিবন্ধী দেখানো হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে তার ছেলে রিকশা থেকে পড়ে হাত ভেঙে গিয়েছিল সেজন্য প্রতিবন্ধী কার্ড পেয়েছেন। তবে স্ত্রী ও শ্যালিকাদের নামে কার্ড বানানোর ব্যাপারে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
তার দুই শ্যালিকা জানান, তাদের স্বামী জীবিত আছেন। তারা কার্ডের জন্য আবেদনও করেননি। এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না। তিনি ২০১৬ সালে এই ভাতার কার্ড করেছেন বলে জানা যায়।
দরবারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন মজুমদার জানান, এভাবে ভাতার কার্ড তৈরি করে জালিয়াতি করা কিছুতেই ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে তিনি আগে জানতেন না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই