ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় গেজেটধারী ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গত ৩০ ডিসেম্বর তারিখের যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি এস এম কায়ছার রহমান ওরফে শরীফ কায়সারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার সদর বাজার চৌরাস্তায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে ইউএনওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
মানববন্ধনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন তাঁরা, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মো. ওয়ালিউর রহমান, এম এম হাবিবুর রহমান, মো. গোলাম হোসেন ও আবু জাফর হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা জানান, ২০০৫ সালের ২৩ নভেম্বর সরকারিভাবে গেজেট তালিকায় আমাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর ২০০৫ সালে হতে অদ্যবধি আমরা মুক্তিযোদ্ধার সম্মানীভাতা সহ অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করে আসছি। এ প্রসঙ্গে ২০১৭ সালে উপজেলায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির যাচাই-বাছাইয়ে আমাদের অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের 'ক' তালিকাভুক্ত হয়ে ভাতা ভোগ করে আসছি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে যাচাই-বাছাইয়ের নামে হয়রানী ও নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছি। ইতিমধ্যে অনেক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছেন। আর যারা বেঁচে আছেন তারাও রোগে শোকে মুহ্যমান।
সম্প্রতি আলফাডাঙ্গা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের শুধুমাত্র ১ তালিকা গেজেটধারী মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট যাচাই-বাছাইয়ের সভাপতি এস এম কায়সার রহমান ওরফে শরীফ কায়সারের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র যারা তার সাথে গোপনে যোগাযোগ করেছেন কেবলমাত্র তাদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১০৬ জন মুক্তিযোদ্ধার ভিতর মাত্র ১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকাভুক্ত করেছেন। এরমধ্যে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর বিক্রম এম এম মান্নান, যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি সরদার হাবিবুর রহমানের নামও যাচাই বাছাই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমান ও অসম্মানজনক।
এসময় বক্তারা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি এস এম কায়সার রহমানকে সভাপতির পদ হতে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করে যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ জানান।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন