গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শেষের দিকে ঈদ যাত্রায় মহাসড়কে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এতে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের টাঙ্গাইলের করটিয়া হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ির দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। রাতে মহাসড়কে গাড়ির চাপ কিছুটা কম থাকলেও ভোররাত থেকে গাড়ির চাপ বেড়েছে। এতে কোথাও কোথাও থেমে থেমে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন।
তবে যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও সেটা মানছে না ঈদে ঘরে ফেরা মানুষজন। এতে খোলা পিকআপ, ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোতে গাদাগাদি করে যেতে দেখা গেছে। করোর মধ্যে করোনা সচেতনতার কোন বালাই লক্ষ্য করা যায়নি। ভোর বেলা থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের করটিয়া বাইপাস, টাঙ্গাইলের আশিকপুর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গাতে প্রচুর মানুষ যানবাহনের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এছাড়া যানবাহন না পেয়ে অনেকেই হেটে রওনা দিয়েছে।
টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট কাজী অলিদ জানান, ভোর থেকেই মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে। এতে মহাসড়কের কোথাও কোথাও যানবাহন থেমে থেমে চলছে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে করটিয়া পর্যন্ত মহাসড়কে গাড়ির দীর্ঘ সারি রয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে গাড়ির ব্যাপক চাপ রয়েছে। তবে গাড়ি কোথাও থেমে নেই। ৫ কিলোমিটার গতিতে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন