বগুড়া পৌর এলাকায় ধরমপুর-মাটিডালী সড়কে সুবিল খালের উপর ব্রিজ ভেঙে দুই বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। কয়েক ফুটের ব্রিজের কারণে এলাকাবাসীকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। ব্রিজটি পৌর এলাকার মধ্যে হলেও দীর্ঘদিনেও কেউ মেরামত করেননি।
এতে প্রায় ১০ এলাকার ১৬ হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী ব্রিজটি অতি দ্রুত নির্মাণ দাবি করেছে। এদিকে, ব্রিজ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, বগুড়া শহরের ধরমপুর-মাটিডালী এলাকায় রয়েছে বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই সংযোগ সড়ক দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক, ছোট যানবাহনসহ প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করতো। আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শহরের বিসিক শিল্প নগরীর কারখানায় কর্মরত সহস্রাধিক শ্রমিক এই রাস্তা দিয়েই স্বল্প সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যেত।
বর্তমানে ব্রিজটি ভেঙে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্রিজের অপর পাশে স্থানীয়দের পারিবারিক গোরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ রয়েছে। ভাঙা ব্রিজের পাশে কাঠ দিয়ে তৈরি বিকল্প ব্রিজটিও নড়বড়ে, কোনোমতে স্থানীয়রা হেঁটে চলাচল করে। প্রায় দুই বছর বগুড়া পৌর এলাকায় ধরমপুর-মাটিডালী সড়কে সুবিল খালের উপর নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে যায়। এলাকাবাসী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে বিষয়টি জানায়। জানানোর পরেও দুই বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো মেরামত হয়নি।
প্রায় ২০ মিটারের ব্রিজটি মেরামতের অভাবে এলাকাবাসীরা ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে যোগাযোগ করে যাচ্ছে। বর্তমানে ব্রিজ না থকায় সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় জনসাধারণসহ ১০ এলাকার মানুষ।
বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক হাসান আলী আলাল জানান, ওই রাস্তা দিয়ে বিসিক শিল্প এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা যাতায়াত করে থাকে। ছোট কুমিড়া, নিশিন্দারা, ছোট কুমিড়া, বড় কুমিড়া, বানদীঘি, ধরমপুর, ল্যাংড়াবাজার, শাওল, আড়োলা থেকে শ্রমিকরা সহজেই তাদের কর্মস্থলে আসতো। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় তাদের কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হয়।
বগুড়ার ধরমপুর বাজার দোকান মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ব্রিজের এপাশে বসবাসরত ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষের পারিবারিক গোরস্থান ভাঙ্গা ব্রিজের অপরপাশে। এছাড়া সেখানে একটি ঈদগাহ মাঠ রয়েছে। কোনো মানুষ মৃত্যুবরণ করলে কাঠের ব্রিজ দিয়ে নিয়ে যেতে কষ্ট হয়। একারণে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে ট্রাকে করে লাশ নিয়ে এসে দাফন করতে হয়।
বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, ব্রিজ নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই ব্রিজ নির্মাণ হবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এলজিইডি বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ধরমপুর ব্রিজ আগামী ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করে এটি নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যেই ব্রিজের নির্মাণের জন্য নকশা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও অনুমোদন পেলে খুব দ্রুত কাজ শুরু করা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই