হবিগঞ্জ ১০০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করতে সরকার ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮তলা যে নতুন ভবন নির্মাণ করেছে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ। চালু হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে গেছে লিফট, ভেঙে পড়ছে দরজা-জানালা। ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া হবিগঞ্জে প্রতি শুক্রবার ও শনিবার ঢাকা থেকে যেসব ডাক্তার আসেন তাদের অধিকাংশই ভুয়া।
রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব তথ্য উঠে আসে। এ সময় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী কমিটি গঠন করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
সভায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা জানান, হবিগঞ্জের মানুষকে শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়েছে। এর জন্য ৪৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ৮ তলা একটি ভবনও নির্মান করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২০ জুলাই ভবনটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। উদ্বোধনের ৩ বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ভবনটি চালু হয়নি। যে কারণে নতুন ভবনের জন্য যেসব যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এই ভবনটি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। ভবনের লিফট নষ্ট হয়ে গেছে। দরজা জানালা ভেঙে পড়ছে।
সভার অভিযোগগুলো শোনার পর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের ৮তলা নতুন ভবন নির্মাণে অনিয়নসহ সকল বিষয়ে কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে যারাই জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডা. কে এম মুস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল