শিরোনাম
২০ জুন, ২০২১ ১৯:৩৯

ইউপি নির্বাচন: গলাচিপার চারটি ইউনিয়নের ১৯টি সেন্টারই ঝুঁকিপূর্ণ

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

ইউপি নির্বাচন: গলাচিপার চারটি ইউনিয়নের ১৯টি সেন্টারই ঝুঁকিপূর্ণ

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আগামীকাল সোমবার (২১ জুন) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চারটি ইউনিয়নের একটি ইউনিয়নের ৬টি সেন্টারসহ মোট ১৯ সেন্টার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের নানা অভিযোগ থাকলেও শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য দৃঢ় মত ব্যক্ত করেছেন প্রশাসন।

এদিকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলোতে ইতোমধ্যে বহিরাগত ও যানবাহন চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

গলাচিপা উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ২১ জুন ৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউনিয়নে নির্বাচনের জন্য রবিবার দুপুর থেকেই প্রিজাইডিং ও সংশ্লিষ্ট পুলিশসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ও ব্যালটসহ আনুষঙ্গিক মালামাল নিয়ে রওয়ানা দিয়েছেন। চারটি ইউনিয়নে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ৩৭টি। এতে ২৮৭জন পুলিশ এর মধ্যে প্রতি কেন্দ্রে একজন এসআইসহ ৫জন পুলিশ মোতায়েন থাকবে। মোট ৬২৯জন আনসার এর মধ্যে প্রতি কেন্দ্রে ১৭জন করে আনসার উপস্থিত থাকবে।

এছাড়াও র‌্যাব ও চার প্লাটুন বিজিবি’র সদস্য নিয়োজিত থাকবে। অপরদিকে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররা তো রয়েছেই। নির্বাচন উপলক্ষে চার ইউনিয়নের জন্য ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও প্রশাসনের একাধিক টিম নির্বাচনের দিন মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন। এর মধ্যে আমখোলা ইউনিয়ন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখানে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
 
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমখোলা ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৫ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৬৮৯ এবং নারী ভোটার ১২ হাজার ৪১১ জন। গোলখালী ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৮জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৯৭২ এবং নারী ১৩ হাজার ৫৪৬ জন। রতনদী তালতলী ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৬ হাজার ২২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৭০ এবং নারী ৮ হাজার ১৫০ জন। চিকনিকান্দি ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৩ হাজার ৯৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ২৩ ও নারী ৬ হাজার ৯৬৬ জন। 

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, চারটি ইউনিয়নে মোট সেন্টার ৩৭টি। এর মধ্যে আমখোলা ইউনিয়নের ৬টি, গোলখালী ৪টি, রতনদীতালতলী ৫টি, চিকানিকান্দি ৪টি সেন্টার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব সেন্টারগুলো অতিরিক্ত নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রতি ইউনিয়নে পুলিশের মোবাইল টিম দুইটি করে, দুইটি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত থাকবে।  

রতনদী তালতলী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান বলেন, এতদিন ভয়-ভীতির কারণে মাঠে নামতে পারিনি। প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে আসার পরই আমি একটু স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। অপর দিকে রতনদীতালতলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। বিদ্রোহী প্রার্থী নিজের দুর্বলতা ঢাকার জন্য নানা ধরনের অপপ্রচার করছে।

এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোন অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর