লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়া সেই অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী ফুটফুটে পুত্র সন্তানের মা হয়েছে। জন্ম নেওয়া ওই সন্তানের পিতৃপরিচয় ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। তবে পলাতক থাকায় পুলিশ দুই মাসেও গ্রেফতার করতে পারেনি ধর্ষককে।
গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মা হন ওই কিশোরী। তবে নিস্পাপ শিশুটি যেন পিতৃপরিচয় পায় এমনটাই দাবি পুরো এলাকাবাসীসহ সচেতন মহলের। ধর্ষণের ঘটনায় গত ২০ এপ্রিল ওই অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে রবিউল নামে একজনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বেশ কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে চলতি বছরের ৩ জুন ওই কিশোরী অসুস্থ হলে পুলিশের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবার। পরে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মকবুল হোসেনকে দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানেই ওই কিশোরী একটি পুত্র সন্তানের মা হন। বর্তমানে মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।
ওই কিশোরীর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, 'কষ্ট করে দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের জন্য মাটি কাটার কাজ করে সংসার চালাই। দরিদ্র হলেও আমারতো সম্মান আছে। আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারি না। এখন কী হবে অনাগত এই সন্তানের ভবিষ্যৎ? কোথায় রাখবে এই সন্তান? কিভাবে লালন-পালন করবে এই সন্তান? কে নেবে তার ভরণপোষণের দায়িত্ব? কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। আমি বাড়ির বাহিরে কাজ করার সুযোগে যারা আমার মেয়ের এমন সর্বনাশ করেছে তাদের ফাঁসি চাই'।
এ বিষয় কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় ১ জনের নামে গত ২০ এপ্রিল একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল