খাগড়াছড়িতে কুরবানির গরুর হাট-বাজারগুলো গরু বেপারিদের দখলে। গত বছরের চেয়ে এবারে প্রতিটি গরু ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি। ভারতীয়-মায়ানমারের গরু সমতল জেলাগুলোতে না আসায় এখানকার পাহাড়ি দেশীয় গরুর উপর চাপ পড়েছে বেশি। স্থানীয় বেপারিরা ট্রাকে ট্রাকে করে সমতল জেলায় দেশী গরু পাঠিয়ে দিচ্ছে প্রতিদিন। যার ফলে এখানে স্থানীয় ক্রেতাদের চড়া দামে কোরবানির গরু কিনতে হচ্ছে।
গরুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউই। হাটে প্রশাসনের নজরদারিও তেমন একটা চোখে পড়ছে না। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।
গেল বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির সবচেয়ে বড় গরু বাজার, খাগড়াছড়ি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরু উঠেছে অনেক। সব গরুর বিক্রেতাগণ স্থানীয় বেপারিরা। সুযোগ বুঝে স্থানীয় বেপারিরা এখানকার খেটে-খাওয়া পাহাড়ী শ্রমিকদের হাতে গরুর দড়ি ধরিয়ে দিয়েছে। এসব পাহাড়ী শ্রমিকরা নিজেদের পালিত গরু বলে দাম হাকছে। ৪ মন ওজনের একটি গরুর দাম হাকছে ১ লাখ ২০হাজার টাকা। গেল বাজারে ৫ মণের কাছাকাছি ২টি গরু বিক্রি করা হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়। চাহিদার তুলনায় এখানে গরুর সংখ্যা কম থাকায় স্থানীয় বেপারিরা চড়া দর চাচ্ছে। পাহাড়ী পাড়া গ্রামগুলোতে গৃহপালিত গরু নেই বললেই চলে। এসব পালিত গরুগুলো মালিক থেকে কিছু টাকা দিয়ে অগ্রিম ক্রয় করে মালিকের কাছেই রেখা হচ্ছে। প্রতিদিন সমতল জেলাগুলোতে ট্রাকে ট্রাকে গরু যাচ্ছে। এজন্যই গরু কিনতে চড়া দাম গুণতে হচ্ছে স্থানীয় ক্রেতাদের। পাহাড়ে গরু পালনে প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় এখানে গরুর খামার তেমন গড়ে উঠছে না।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ