নাটোরের হরিশপুরে মেহেদী হাসান নয়ন নামে এক পরিবহন ব্যবসায়ীকে মারধর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা মৃদুল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের গণি ফিলিং সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার নয়ন হরিশপুর এলাকার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের ছেলে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহরের তালহা চৌধুরী ও মৃদুলসহ চার-পাঁচজন দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী নয়নের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েকজন দুর্বৃৃত্ত নয়নক মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় নয়নের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মৃদুলকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। তবে বাকি দুর্বৃত্তরা এসময় পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী নয়নকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ঘটনার দিন রাতেই তালহা চৌধুরী ও মৃদুলের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করেন ভুক্তভোগী নয়ন।
এদিকে, মারধর ও চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে ব্যবসায়ী তালহা চৌধুরী জানান, আসলে নয়নের ট্রাক দিয়ে আমার দোকানের সাইনবোর্ড বেশ কয়েকবার ভাঙা হয়েছে। এজন্য ট্রাকটি অন্যত্র সরিয়ে রাখার জন্য কথা বলা নিয়ে তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। তবে মারধর বা তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার মতো কোনো কিছু ঘটেনি। সে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
নাটোর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মতিন জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই তালহা চৌধুরী ও মৃদুলসহ ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তবে জনতার হাতে আটক মৃদুলকে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। শনিবার তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই