আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, মুক্তির সংগ্রাম করার জন্য বাঙালির ভিতরে যে শক্তি, সেই শক্তি, চেতনা ও সাহস ১৫ আগস্টে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতার নিহতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তার অনুগ্রহ, স্নেহ, অনুকম্পা ও ভালোবাসা পেয়ে অনেক বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। অথচ জাতির পিতার মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে তাদের কেউ সাহস করে রাস্তায় এসে ডাক দেয়নি।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার খবরে হতবিহবল জাতি অপেক্ষায় ছিলেন একটি স্লোগানের। ঘাতক জিয়াউর রহমানও সেদিন বাকশালে যোগ দেওয়ার জন্য জাতির পিতার কাছে তদবির করেছিলেন। অথচ জাতির পিতার লাশ ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের সিঁড়িতে রেখে রক্তের দাগ শুকানোর আগেই জাতির পিতার সহকর্মীরা বিশ্বাসঘাতক মোস্তাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে রবিবার সকালে জয়পুরহাট শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা আর তারই ছেলে তারেকের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। এসব হত্যাকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে নেতাবিহীন বিশাল কর্মী বাহিনী কোন কাজে আসে না। এজন্য আমাদের রাজনৈতিক কর্মী সৃষ্টি করতে হবে। ব্যক্তি স্বার্থে নয়, দলীয় স্বার্থে রাজনৈতিক কর্মী সৃষ্টির জন্য কর্মীর মনে রাজনৈতিক চেতনা ও মননশীলতার উদ্ভব ঘটাতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালাল মুকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম সোলায়মান আলী, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাসুদ রেজা, সম্পাদক খোরশেদ আলম সৈকত প্রমুখ।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই সভায়ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত