দিনাজপুরে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) অভিযানে আটক ৪২ জনের মধ্যে ১১ জনকে আসামি করে তিন থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই সব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার তাদের আদালতে তোলা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুর আদালত পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, আদালতে ১১ জনকে নিয়ে এসেছে সংশ্লিষ্ট ওই তিন থানা পুলিশ। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড আবেদনের শুনানি আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছে আদালত।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে আটককৃতদের মধ্যে কোতয়ালি থানায় পাঁচজন, বিরল থানায় তিনজন এবং বোচাগঞ্জ থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় এই মামলাগুলো দায়ের হয়েছে। প্রতিটি মামলায় গ্রেফতার ব্যক্তিরা ছাড়াও আরও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
জানা যায়, তিনটি উপজেলায় ৪২ জনকে আটক করেছিল কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। পরে তাদের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা পান তারা। যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে তাদের মধ্যে ১১ জনকে আসামি করে দিনাজপুর, বিরল ও বোচাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। বাকি আটজনকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউনিটের সদস্যরা ঢাকায় নিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দিনাজপুর সদর উপজেলা, বিরল উপজেলা ও বোচাগঞ্জ উপজেলার তিনটি মসজিদে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা। তাদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল, সেসব মসজিদে তাবলিগ জামায়াতের নাম করে আসা ব্যক্তিরা নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত এবং তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এই অভিযোগে ওই তিনটি মসজিদ থেকে ৪২ জনকে আটক করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই