নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নে ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পোস্টার লাগাতে গিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক লিটনের ছেলেসহ ৭ কর্মীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নাটোর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় একটা ভ্যান নিয়ে চাঁদপুর বাজারে সতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক লিটনের পোস্টার টানাতে আসে তাঁর কর্মী সমর্থকরা। হঠাৎ করে সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম সুক্কুর নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত ভ্যান ভাংচুর করে এবং পোস্টার ছিনিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের এলোপাথাড়ি মারপিটে আহত হয় মোজাম্মেল হক লিটনের স্কুল পড়ুয়া ছেলে নাজমুল সিয়াম (১৭), দিনমজুর ভ্যানচালক বাবলু (৫০), কর্মী রুবেল হোসেন(৩২), মাইনুল (১৭), মমিন হোসেন (১৩), বায়োজিদ (২৫), আসাদুর রহমান মিন্টু (৩৪)। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়। আহতরা সবাই ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আহত আসাদুর রহমান মিন্টু জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুক্কুর নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। তিনি আমাকে লাঠি দিয়ে মারপিট করেছে।
হাসপাতালে উপস্থিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদর উপজেলা শাখার সহসভাপতি মোজাম্মেল হোসেন লিটন অভিযোগ করে বলেন, সাধারণ ভোটারদের সাথে সাক্ষাত করলে ও প্রচার-প্রচারণায় বের হলে সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া এবং হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভোট দিতে যাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছেন তাঁরা। কারা তাঁর পোস্টার ছিড়ছে এবং কর্মী সমর্থকদের হামলা করছে তা নিদিষ্ট করে না বলে খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান ।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম সুক্কুর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরে অসংখ্যবার কল দিয়েই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নাটোর আধুনিক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রাকিব জানান, মারপিটের শিকার সাত জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা কেউ হাসপাতালে ভর্তি হননি।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান জানান, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। সামান্য ঘটনা। এখনো এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যে আইন-শৃংখলা বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলে তাৎক্ষনিক পুলিশের বিশেষ টিম সেখানে ছুটে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ