যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বাড়ায় যমুনা নদীর অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বিকেলের দিকে যমুনার তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর চরের লালচাঁন, জুড়ান, সাইফুল, রবি, ইয়াদুল, ডা. এরশাদের বাড়িসহ অন্তত ২৫টি বসতবাড়ি কয়েক মিনিটের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
হুমিকর মুখে রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ সদিয়া দেওয়ান তলা সংকরহাটি উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রায় ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙনে আতঙ্কে অনেকে বসতভিটা সরিয়ে নিচ্ছে।
বয়োবৃদ্ধ আতাহার মন্ডল জানান, ৭৩ বছব বয়সে প্রায় ২৫ বার বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। তবে শুক্রবারের মতো ভাঙন কখনো দেখেনি। মুহূর্তের মধ্যে অনেকগুলো বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
গ্রামের হাফিজুর রহমান, শিক্ষক ইকবাল হোসেন ও আব্দুল মমিন, শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙনের ভয়াবহতা দেখে আমরা হতবাক। চোখের সামনে কয়েশ মিটার এলাকা বিলীন হয়েছে। প্রায় ২৫টি বসতভিটা মুহূর্তের মধ্যে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় আমরাও আতঙ্কিত।
সদিয়া দেওয়ানতলা সংকরহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, ভাঙন এলাকা থেকে মাত্র ৫৫ মিটার দূরে হাইস্কুল কমপ্লেক্স ভবন। এছাড়া অন্তত ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকিতে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বিলীন হলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে স্কুলগুলো নদীগর্ভে চলে যাবে।
ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ পারভেজ জানান, প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা ও বেশ কিছু বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। দ্রুত জিও ব্যাগ ডাম্পিংসহ ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই