বগুড়ার শেরপুরে কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১২’র সদস্যরা।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার আমইন গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা ১৯০ কেজি ওজনের একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় শেরুয়া ফরেষ্টগেট এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে আবুল বাশার রুবেল (৫৫) ও তার সহযোগী সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আবু বকরের ছেলে আল আমিন (৪৮)। গ্রেফতারকৃতদের ঘটনার রাতেই র্যাবের পক্ষ থেকে শেরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, বিগত এক থেকে দেড় বছর আগে দক্ষিণ আমইন গ্রামের একটি জলাশয় সংস্কার করা হয়। পরে এটি লীজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন মৎস্যজীবি দল নেতা আবুল বাশার রুবেল। তাদের ধারণা, তখনই কষ্টি পাথরটি পান রুবেল। এরপর থেকে মূর্তিটি বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে ঘটনাটি গোপনে র্যাব-১২ সদস্যরা জানতে পেরে অভিযান চালান। সেইসঙ্গে কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ বিক্রিতে আবুল বাশার রুবেল ও তার সহযোগী আল আমিনকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হওয়া মূর্তিটির দাম ২০০ কোটি টাকা বলে সূত্রটি জানান।
র্যাব-১২’র কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহম্মেদ জানান, উদ্ধার হওয়া মূর্তিটির ওজন ১৯০কেজি। মূর্তিটি কষ্টি পাথরের বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে শেরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন জানান, কষ্টি পাথরের মূর্তি বিক্রির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন