ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পাখী বেগম (১৯) ও সম্পা বেগম (৩৬) নামে দুই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দু'টি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে ভাঙ্গা থানায়।
পাখী বেগম উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের ভাসরা গ্রামের উজ্জল মুন্সীর (২৬) স্ত্রী। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে।
উজ্জল জানায়, পাখী বেগমের সাথে তার মনোমালিন্য চলছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বাড়িতে এসে ঘরের ভিতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখাতে পান গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় পাখী বেগম ঝুলছেন। পরে তিনি ভাঙ্গা থানায় খবর দেন।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রবিন খান বলেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এ ব্যাপারে মৃত পাখী বেগমের বাবা মোক্তেল মাতুব্বর বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে, ভাঙ্গা পৌরসভার আতাদী এলাকায় গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় গৃহবধূ সম্পা বেগমকে (৩৬)। তিনি ওই মহল্লার কামরুল মাতুব্বরের (৪২) স্ত্রী এবং দুই ছেলের জননী। কামরুল মাতুব্বর বাসের সুপারবাইজার হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে সম্পা বেগম ও কামরুল মাতুব্বরের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীরা সম্পা বেগমকে ঝুলন্ত অবস্থায় নামিয়ে দ্রুত ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল হাসান বলেন, পুলিশ মৃতদেহ দু'টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে মৃত সম্পার ভাই রণি মাতুব্বর বাদী হয়ে থানার একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির