মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়েনে রুহুল আমিন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ইউপি নির্বাচন নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরোধের জের ধরে আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুহুল আমিন জানান, সকাল ৭টার দিকে তিনি পথেরহাট বাজার এলাকায় হাটাহাটি করছিলেন। এসময় মোটরসাইকেলযোগে একদল দুবৃর্ত্ত সেখানে এসে তাকে ঘিরে ধরে। পাশাপাশি অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কুপিয়ে জখম করে। একই সাথে বেধরক মারপিট করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় পথেরহাট বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। স্থানীয় সংকোচখালী গ্রামের ইসলাম, হাসান ও সাহেব আলীর নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। হামলাকারীরা গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম মিলনের সমর্থক। অন্যদিকে রুহোল আমিন একই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হাসান রাজীবের সমর্থক।
এদিকে গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, ‘রুহুল আমিন আমার সমর্থক হওয়ায় নির্বাচনের বিরোধের জের ধরে সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম মিলনের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। এ ধরণের হামলা চালিয়ে তারা এলাকায় প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। তারা এলাকায় আমার প্রচার ব্যানার পুড়িয়েছে। বিভিন্নভাবে আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে’।
এ বিষয়ে সরকার দলীয় প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শান্তি প্রিয় মানুষ। জনগণের জন্যে কাজ করি। জনস্বার্থ বিরোধী কোন কাজের সহিত আমি জড়িত নয়। রুহুল আমিনের উপর হামলার ঘটনার সাথে আমি বা আমার লোকজনের কোন সংশ্লিষ্টিতা নেই। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে’।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হাসান রাজীব ও নাসিরুল ইসলাম মিলন সোমবার রাতে কোন ধরণের সহিংসতায় জড়াবেন না বলে সদর থানায় মুচলেকা দিয়েছেন। তদুপরি সেখানে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে এটা দুঃখজনক। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আক্রান্ত ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল