সাতক্ষীরার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার । দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনকে ঘিরে এবং নিরেপেক্ষ ভোট নিয়ে নির্বাচনকে ঘিরে উদ্বেগ উৎকন্ঠা আর শংকা বিরাজ করছে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয়পার্টিসহ বিভিন্ন স্বতন্ত্রী প্রার্থী এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের মনে। বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীরা সুবিধাজনক স্থানে, এমনটি বলা যাচ্ছে না। কারণ বেশির ভাগ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগেরই লোকজন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মোট ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে আলীপুর ইউনিয়ন ব্যতিত সাতক্ষীরার ১৩টি ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬৪ জন প্রার্থী, সংরক্ষিত মহিলা পদে ১৬০ জন ও সাধারন সদস্য পদে মোট ৪৯১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার মোট ১২৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১৩টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬৫৩ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৪২৯ জন ও পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ২২৪ জন।
এই নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি নির্বাচনে অংশ না নিলেও ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে বৈকারী, কুশখালী, ফিংড়ী ও ধুলিহর এবং শিকপুর ইউনিয়ন ব্যতীত বাকি ৮ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সরাসরি বিএনপির পদে থাকা নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন। এদিকে ব্রম্মরাজপুর ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ১২ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এছাড়া ঘোনা, বৈকারী ও বাশদাহ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির ৩ জন প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
এদিকে আগরদাঁড়ি, ঘোনা ও বৈকারী ইউনিয়নে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। আর ইসলামি শাসনতন্ত্র বাংলাদেশ থেকে ৩ জন প্রার্থী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তবে একাধিক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বিএনপির প্রার্থী থাকায় রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়েছে। ফলে অনেক ইউনিয়নে নৌকার বিজয় নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিদ্রোহীদের সতর্কবার্তা এবং সর্বশেষ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হলেও খুব বেশি কাজে আসেনি। বরং অনেক স্থানে বিদ্রোহীদের চাপে প্রচার-প্রচারণায় গতি আনতে পারছেন না সরকারি দলের প্রার্থীরা।
বিডি প্রতিদিন/এএ