দ্বিতীয় দফায় শেরপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। আর পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেন।
এছাড়া কামারিয়া ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র গোলযোগের কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত আছে। এজন্য ওই কেন্দ্রের চেয়ারম্যান পদের ফল ঘোষণা করা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে বেসরকারিভাবে ওই ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান।
নৌকা প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন-লছমনপুর ইউনিয়নে মো. আব্দুল হাই, রৌহা ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাইফুজ্জামান সোহেল, বলাইয়েরচর ইউনিয়নে মো. মনিরুল আলম মনি, ভাতশালা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার ও চরপক্ষীমারী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আকবর আলী।
চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন-চরশেরপুর ইউনিয়নে সেলিম রেজা (মোটরসাইকেল-স্বতন্ত্র), বাজিতখিলা ইউনিয়নে আব্দুল্লাহ আল হাসান খুররম (আনারস-স্বতন্ত্র), ধলা ইউনিয়নে জাকির হোসেন (আনারস-স্বতন্ত্র), চরমোচারিয়া ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা এস এম সাব্বির আহমেদ খোকন (আনারস-আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নে মো. মোশারফ হোসেন দুলাল (আনারস- আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী)।
এদিকে, কামারিয়া ইউনিয়নের খুনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোলযোগের কারণে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সারোয়ার জাহান ১০ হাজার ৬৪৯ ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকীর চেয়ে ৩২৬৭ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তবে স্থগিত কেন্দ্রের ভোট ৩৬৭০ হওয়ায় পুনর্নির্বাচনের মাধ্যমেই ফলাফল নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই