নীলফামারী সদরের ১১ নভেম্বর চড়াইখেলা ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়ক সাড়ে চার ঘন্টা অবেরোধ করে রাখেন পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ এলাকাবাসী। শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ওই সড়কের দারোয়ানী বাজারে অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিক্ষুদ্ধরা। পরে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে অবেরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।
জেলার প্রধান ওই সড়কটি সাড়ে চার ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকায় দূরপাল্লাসহ সকল যান চলাচল বন্ধ থাকে এ সময়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।
ওই অবরোধ কর্মসূচিতে এলাকাবাসীর সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন ইউনিয়নটির প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন প্রামানিক, আসাদুল হক শাহ , আব্দুর রহমান , জাকির হোসেন মোল্লা, মকসেদুর রহমান। তাদের অভিযোগ, চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের ব্যাপক কারচুপি ঘটনা ঘটেছে। এমন কারচুপির প্রমাণে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার সময় ব্যালট পেপারের একটি বস্তা ফেলে যান। এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক সেটির প্রতিবাদ জানালে রাতে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত হয়।
এসব বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ফলাফল বাতিল করার সুযোগ নেই। তারা চাইলে ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন। ব্যালটের বস্তার বিষয়ে তিনি বলেন, তাড়াহুরার মধ্যে ভুলবশত চড়াইখোলা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডে ব্যালটের একটি বস্তা ছেড়ে এসেছিলেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। এরপর তিনি গিয়ে ওই বস্তা নিয়ে এসেছেন। এজন্য ফলাফল ঘোষণায় একটু বিলম্ব ঘটে। পরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যে গভীর রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিবেন। আমি তাদেরকে বিষয়গুলো অবহিত করার পর সন্তুষ্ট হয়ে তারা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ