ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়েনের ফরিঙ্গাদিঘী গ্রামের সুভাষ কুমার রায়ের ছেলে স্বপন কুমার রায় (১৬)। সে স্থানীয় নেকমরদ কারিগরি কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। চলমান এসএসসি পরীক্ষায় গত রবিবার (২১ নভেম্বর) ছিল কারিগরি শিক্ষার্থীদের সর্বশেষ পরীক্ষা। তবে রুটিনে ভুল দেখার কারণে পরীক্ষা দিতে যায়নি সে। পরে জানতে পারে সেদিন তার পরীক্ষা ছিল৷
এ ঘটতনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সে। পরে বাড়িতে থাকা ইঁদুর মারার গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে স্বপন। গতকাল সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যায় স্বপন।
স্বপনের বাবা সুভাষ কুমার রায় বলেন, রবিবার স্বপনের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু ভুল করে রুটিনে পরীক্ষা নেই দেখে ওইদিন সে পরীক্ষা দিতে যায়নি। পরে বিকেলে সহপাঠীর কাছে জানতে পারে তার পরীক্ষা ছিল। এ কথা শুনে স্বপন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। রাতে খাবার খেয়ে নিজ ঘরে শুয়ে পড়ে সে। আনুমানিক রাত ১১টার দিকে তার চিৎকারে জানতে পারলাম সে ইঁদুর মারার গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছে৷ তার চিকিৎসার জন্য প্রথমে নেকমরদ ও রানীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সর্বশেষ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় সোমবার দুপুরে মারা যায়।
রানীশংকৈল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তারা মরদেহ সৎকার করার জন্য এডিএম বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন। এনিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত