দিনাজপুরে করোনা প্রতিরোধে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন নিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে আগ্রহ বেড়েছে। দিনাজপুরের জেলা পরিষদের হলরুমে প্রতিদিন দেয়া হচ্ছে এই টিকা।
বুধবার ২৫২০ জন শিক্ষার্থীকে এই টিকা প্রদান করা হয়েছে এবং আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. শাহ মোঃ এজাজ-উল হক।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের মনোবল শক্ত করতে ও সুরক্ষা নিশ্চিতে এ টিকা প্রদান কার্যক্রম কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন সবাই। তাই লাইনে দাড়িয়ে এই টিকা নিতে অপেক্ষা করছে।
দিনাজপুরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা এই কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন নিতে আসছে। করোনা ভ্যাক্সিন প্রদান কার্যক্রম জেলা পরিষদ হলরুমে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এ টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
টিকা গ্রহনকারী দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী রাইসা তাসনিম জানান, একদিকে করোনার ভয় অন্যদিকে পরীক্ষা চলে এসেছে সবমিলে মানসিকভাবে একটু ভেঙ্গে পড়েছিলাম। কিন্তু টিকা গ্রহনের পর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। নিজেকে অনেকটা সুরক্ষিত মনে হচ্ছে ও পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের লক্ষ্যে তার প্রস্তুতি অব্যাহত রয়েছে আশবাদ ব্যাক্ত করে রাইসা।
এসময় অভিভাবক আনসারা বেগম বলেন, যখন জানতে পেরেছি পরীক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে অনেক খুশি হয়েছি। সকালেই মেয়েকে নিয়ে চলে এসেছি টিকা কেন্দ্রে। করোনার মধ্যেও শুরু হতে যাচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের একটু ভিড় হবেই। কিন্তু মেয়েকে টিকা গ্রহন করাতে সেই ভয়টা কেটেছে। একমাত্র মেয়ে এই টিকা গ্রহনের মাধ্যমে সুরক্ষিতভাবে পরীক্ষা দিতে পারবে উল্লেখ করে পরিশেষে স্বস্তি প্রকাশ করেন আনসারা বেগম।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. শাহ মোঃ এজাজ-উল হক জানান, শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে ফাইজারের টিকা। গত ২০ নভেম্বর থেকে বুধবার পর্যন্ত ৮৭১২ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের এই টিকা প্রদান করা হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে সাধারন মানুষকেও এই টিকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
শিক্ষার্থীদের উৎসাহের সাথে অংশগ্রহন করতে দেখা যায়। এর মধ্যে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আব্দুুুল কুদ্দুস ও জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম। পরিদর্শনকালে সকল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান তারা।
বিডি প্রতিদিন/এএম