মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে নৌকার ক্যাম্প পোড়ানোর অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া,বেতকা ও বজ্রযোগেনী ইউনিয়ে নৌকার ক্যাম্প পোড়ানো হয়। এসব ক্যাম্পে আগুনে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারসহ চেয়ার পুড়িয়ে দেয়া হয়। এসব ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে কেবাকাহারা রাতের আধারে নৌকার ক্যাম্প গুলো পুড়ি দিয়েছে সেটা তারা দেখেনি।
এ ব্যাপারে কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন হালদার বলেন, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অব্যাহতি পাওয়া সাবেক সভাপতি জগলুল হালদার ভূতু ও তার ছেলে আমার প্রতিপক্ষ বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের লুৎফর হালদার খুুকু ও তার কর্মী সমর্থকরা নৌকার প্রচার-প্রচারণায় বিভিন্নভাবে বাধা দিয়ে যাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে দৌপড়া পাসা এলাকার নৌকা ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়। এর আগে বহিরাগতদের এনে আমার ক্যাম্প পরিচালনাকারীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার এবং নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের দাবি জানাই।
তবে ক্যাম্প পোড়ানোর অভিযোগটি অস্বীকার করে কামারখাড়ার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফর হালদার খুকু বলেন, এটি ষড়যন্ত্র, যাতে আমি বা আমার কর্মীরা এলাকায় থাকতে না পারি তার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করলে আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে।
ক্যাম্প পোড়ানোর বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা শোয়েব।
বিডি প্রতিদিন/এএ