দেশি-বিদেশি পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গল। টানা তিন দিন ছুটি কাটাতে পর্যটকরা ছুটে এসেছেন এখানে। এদিকে পর্যটকদের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন হোটেল রির্সোট মালিকরা। অধিকাংশ হোটেল রির্সোট আগমী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বুক হয়ে আছে।
হোটেল রির্সোট সিট না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকদের শহরের খাবার হোটেলে বসে থাকতে দেখা যায়। কেউ রাস্তায় হেটে হেটে রাত কাটিয়ে দেন। তাদের কেউ আসেন পরিবার পরিজন নিয়ে। কেউ কেউ আসেন একত্রে বাসভাড়া করে। এসেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।
পর্যটকরা শুক্রবার চা বাগান, নীলকন্ঠ চা কেবীন, বধ্যভূমি ৭১, বিটিআরআই চা গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, বাইক্কাবিল ও কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ঘুরে বেড়ান। পর্যটকরা ভোরে বেরিয়ে পড়েন চা বাগানের পথ ধরে। মুগ্ধ হন ভোরের শিশির ভেজা চা বাগান দেখেন। কেউ চলে যান হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে অতিথি পাখির কলবর শুনতে। কেউ চলে যান লাউয়াছড়া সবুজ অরণ্য। আবার নীলকন্ঠে সাত কালারের চা কেবিনেও জটলা দেখা যায় পর্যটকদের। এখানে চা পান করেই পর্যটকরা ঘুরতে যান পার্শ্বের রামনগড় মনিপুরি পল্লীতে।
রাধারগড় নিবর ও নিসর্গ ইকো কটেজের মালিক শামসুছ ইসলাম জানান, আগমী তিন দিন তার কটেজে কোন রুম খালি নেই। একই কথা জানালেন শন্তিবাড়ী রির্সোটের মালিক লিংকন। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের টিকিটে কাউন্টার থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ২ হাজার ১৫৩ জন পর্যটক লাউয়াছড়া ভিজিট করেছেন। এর মধ্য ৭ জন বিদেশি।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাপস চন্দ্র দাশ বলেন, এই তিন দিন প্রায় ২০ হাজার পর্যটক শ্রীমঙ্গলে অবস্থান করছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম