মাদারীপুরের কালকিনির সমিতিরহাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আপাং কাজির গ্রুপ এবং কবির খা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গোলাগুলিসহ অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুলাই মাদারীপুরের কালকিনিতে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিরাজ হোসেনের পা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় আপাং কাজীর লোকজন। পরে মিরাজের ভাই কবির খাঁ বাদী হয়ে ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৪ ডিসেম্বর বাদীর চাচা একই এলাকার তিতাই খানের ছেলে লিয়াকত খানের দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেয় আসামিরা। পরে স্থানীয় লোকজন আহত কৃষককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। এইসব ঘটনার পর থেকেই উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে শনিবার ভোর থেকে ব্যাপক সংঘর্ষ চলে।
গোলাগুলিসহ বোমা বিস্ফোরণ হওয়ায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফার রাসেল বলেন, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল