জেলেদের পাতা জালে আটকা পড়ে মারা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতের অদূরে গভীর বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা চর বিজয়ে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে।
শীত মৌসুমের শুরুতেই এই চরটিতে জেলেদের উপস্থিতি বেড়েছে। তারা খুটাজাল পেতে মাছ শিকার করছেন। আর পাখিগুলো ওই জালে আটকে মারা যাচ্ছে। এদিকে বেশ কয়েকজন পর্যটক চর বিজয় থেকে ফিরে এমন ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। এর ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তারা।
স্থায়ীয় সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে-পূর্ব সাগরের বুকে জেগে ওঠা এ চরের অধিকাংশ এলাকা বর্ষা মৌসুমে পানিতে ডুবে থাকে। আরা শীত মৌসুমে ধু-ধু বালু। মানুষের খুব একটা সমাগম নেই বলে লাল কাঁকড়া আর অতিথি পাখির অবাধ বিচরণ। তবে তিন মাসের জন্য অস্থায়ী বাসা তৈরি করে শুটকি তৈরি প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ করে জেলেরা। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে পর্যটক ও পর্যটন কর্মীরা এটির নাম দেন ‘চর বিজয়’।
চর বিজয় থেকে ফিরে উদ্বেগ প্রকাশ করে শফিুর রহমান নামের একজন পর্যটক। তিনি জানান, চরে পেতে রাখা জালে দেখলাম আটকে পড়া মরা পাখি রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে ওই জালের কারণেই পাখিগুলো মারা গেছে। এছাড়া কিছু মরা পাখি পচে চরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু জানান, বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকেই চার-পাঁচ মাস অতিথি পাখিগুলো এই চরে অবাধে বিচরণ করে থাকে। এরা ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরে বেড়ায়। এ চরে জেলেদের পাতা জালে বিভিন্ন সময় আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে একের পর এক অতিথি পাখি।
পটুয়াখালী বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আমাদের একটি টিম দুই-তিন দিন পরপর ওখানে পাঠানো হয়। চর বিজয়ের কিছু অংশে বনায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তাকে অভিযানের জন্য বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম