হিমালয়ের কাছাকাছি উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় ঘনকুয়াশা ও ঠাণ্ডা। কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবনে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করছে।
দিনভর রোদ থাকলেও তেমন উষ্ণতা অনুভব হয় না। আর এরকম ঠাণ্ডা জানান দিচ্ছে পৌষের দাপট। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে আবারো ঠান্ডার প্রকোপ বাড়তেই থাকে। রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হয়। তবে শীতের শুরুতে ঠান্ডায় শিশুরা ও বৃৃদ্ধরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এসব মানুষের কষ্ট বেড়েছে। এছাড়াও ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ায় জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া ও শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সুত্র জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও সর্দি জ্বরের রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এসব রোগীর মধ্যে শিশুই বেশি। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২জন শিশু চিকিৎসা নেয়।
তথ্য অনুযায়ী,গত ১১ ডিসেম্বর ১৫ জন শিশুসহ ২১ জন রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়,১৫ ডিসেম্বর তা বেড়ে ২৯ জনে আসে যার মধ্যে শিশু ছিল ২৬ জন। এদিকে,গত ৪৮ঘন্টায় ৪৫ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়। জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পুলক কুমার জানান,শীত বাড়ার সাথে সাথে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ে। তবে এখন ডায়রিয়ায় শিশুদের আক্রান্তের হার কিছুটা বেশি।সকলকে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।
অন্যদিকে, শীত বাড়ার সাথে সাথে জেলায় শীতার্ত মানুষের সংখ্যা ক্রম্ইে বাড়ছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণে এগিয়ে আসার দাবি এলাকার মানুষের।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, জেলায় তাপমাত্রা কমছে আরো কমবে। তবে এ মাসের শেষের দিকে একটি শৈত্যপ্রবাহ জেলায় বইতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এএম