বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ইউনিয়নের হুয়াকুয়া গ্রামে লিজকৃত মরছোর বিলে জোরপূর্বক মাছ ধরার অভিযোগে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সোনাতলা থানা পুলিশ।
সরেজমিনে গেলে ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগকারী হুয়াকুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিম সর্দারের ছেলে আলমগীর হোসেন জানান, “পাকুল্যা ইউনিয়নের হুয়াকুয়া মৌজার সাবেক ২৪৯ হালে ৪১৪ নং দাগে তার বাবা ও চাচাসহ একই গ্রামের ৪০ জনের নামে ১৯৪১ সালে ১১ একর জমি কবলা করা হয়। আমরাসহ জমির প্রকৃত মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে এই জমিগুলো ভোগদখল করে আসছি। একই গ্রামের আব্দুল বারী ওই জমি নিজেদের দারি করে ১৯৯৩ সালে আদালতে একটি মামলা করেন। মামলাটি চলমান রয়েছে। এই ১১ একর জমি সংলগ্ন এলাকায় অন্যান্যদের আরও প্রায় ২০ বিঘা জমি ৬ বছর মেয়াদি লিজ নিয়ে আমরা একটি মাছের প্রজেক্ট করেছি। বর্তমানে সেখানে কয়েক লাখ টাকার মাছ ছাড়া হয়েছে। প্রজেক্টের কারণে আমরা সেখানে লাল পতাকা উড়িয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করে মাছ চাষ করে আসছি। বুধবার সকালে আব্দুল বারীর অনুসারী শতাধিক লোক সেখানে মাছ ধরতে নামে। তারা মাছ ধরার পাশাপাশি পতাকা তুলে ফেলে, বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, বৈদ্যুতিক তার নিয়ে যায়। এতে আমাদের প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়।”
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ আব্দুল বারীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, “আমরা কারও জায়গায় মাছ ধরিনি, আমাদের জায়গায় মাছ ধরেছি।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সোনাতলা থানার সাব ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, “তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বিডি প্রতিদিন/কালাম