ঝিনাইদহে সোমা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোমা খাতুন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। বিচারের দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মেইনবাসষ্ট্যান্ডে ফয়লা গ্রামবাসী সোমা খাতুনের লাশ নিয়ে মিছিল করে।
জানা গেছে, প্রায় ১৪ বছর আগে ফয়লা গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ের সাথে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা গ্রামের আখিদুল মন্ডলের ছেলে ফরিদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে চাঁদ আলী নামে ৫ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। স্বামী ফরিদুল দুবাই প্রবাসী। গত ২ মাস আগে সে দেশে আসে। এরপরই স্ত্রী সোমার উপর নির্যাতন করা শুরু করে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে নুর ইসলাম তার স্ত্রীকে শারিরীক নির্যাতন করে। শুক্রবার সকালে সোমা খাতুনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর থেকে ফরিদুল ইসলামসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
নিহত সোমা খাতুনের বাবা নুর ইসলাম জানান, তার মেয়েকে শারিরীক নির্যাতন করা হয়েছে। মৃত্যুর পর তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্নও দেখা গেছে। তিনি মেয়েকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোল্লা তৌহিদুল ইসলাম জানান, গৃহবধূ সোমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে সেটি জানা যাবে। তবে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিহত সোমার পরিবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামী ফরিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত