বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর নাজমুল হাসান অরেঞ্জকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি রাসেল ও খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাসেলকে ঢাকার বনানী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাবের একটি দল। বিষয়টি মঙ্গলবার দুপুরে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে বগুড়া সদরের ফাঁপোর এলাকা থেকে খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা। এ মামলায় এর আগে গত বৃহস্পতিবার টিপু নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কমান্ডার (স্কোয়াড্রন লিডার) সোহরাব হোসেন জানান, রাজধানী ঢাকায় র্যাবের একটি দল সোমবার রাত ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে করে রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একই দিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে বগুড়া র্যাবের একটি দল একই মামলার আরেকজন আসামি খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত খায়রুল ইসলাম শহরের মালগ্রাম ডাবতলা এলাকার বাসিন্দা এবং শহর যুবলীগের ৮ নম্বর ওর্য়াডের সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে বগুড়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ মারা গেছেন।গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে টানা আট দিন তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
নিহত অরেঞ্জ মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ার রেজাউল ইসলামের ছেলে। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ বগুড়া জেলা শাখার সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সহ-সম্পাদক ছিলেন।
সোমবার রাতেই অরেঞ্জের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা। এদিকে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে যোহর নামাজের পর অরেঞ্জের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে আরেকটি জানাজা শেষে নামাজগড় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়া শহরের মালগ্রামের ডাবতলা এলাকায় অরেঞ্জকে গুলি করে প্রতিপক্ষ। এ সময় তার বন্ধু আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিনহাজ শেখ আপেলও গুলিবিদ্ধ হন। তবে অরেঞ্জের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে আইসিইউ-তে নেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জের ধরে অরেঞ্জ ও আপেলকে গুলি করা হয়। এর আগে ঈদুল ফিতরের ঈদের পর একবার হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই হামলার শিকার গ্রুপটিই প্রতিশোধ নিতে এবার গুলি চালায়। পরে অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্নালি আক্তার বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে থাকা বগুড়া পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাকির আল আহসান জানান, গত বৃহস্পতিবার টিপু নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি মালগ্রামের কসাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা ।
বিডি প্রতিদিন/এএম