বগুড়ার শেরপুরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন দলীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের বেটখোর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাঙণে আট নম্বর ওয়ার্ড সম্মেলনে এই ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার বেলা তিনটার দিকে সীমাবাড়ী ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলন শুরু হয়। প্রথম অধিবেশন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এরপর সন্ধা সাতটার দিকে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে শুরু হয় কাউন্সিল। কিন্তু কাউন্সিলের শেষ হওয়ার আগমুহুর্তে ওই ওয়ার্ডেও সভাপতি প্রত্যাশী আব্দুল আলিম ওরফে চঞ্চল হইচই শুরু করেন। সেই সঙ্গে সম্মেলনের চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি ও ভাঙচুর করতে থাকেন। একপর্যায়ে আরেক প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক আকন্দের কর্মী-সমর্থকরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় সীমাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গৌরদাস রায় চৌধুরী, সীমাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রতন বসাকসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। তবে বাকি আহত তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাওয়ায় তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রত্যাশী আব্দুল আলিম ওরফে চঞ্চল বলেন, সম্মেলনে কাউন্সিলরদের মতামত উপেক্ষা করে নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে আবদুর রাজ্জাক আকন্দর নাম ঘোষণার পরই দলীয় নেতাকর্মীরা তা প্রত্যাখান করে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে দু’একটি চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও তেমন কোনো কিছুই হয়নি বলে মন্তব্য করেন।
তবে নবনির্বাচিত ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন, সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের ভোটে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু কাউন্সিলরদের মতামত অনুযায়ী কমিটি ঘোষণা দেওয়া মাত্রই চঞ্চলের লোকজন হট্টগোল শুরু করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অত্র সীমাবাড়ী ইউয়িন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা দেওয়ার পরপরই উপস্থিত দলীয় কিছু নেতা-কর্মী উত্তেজিত হয়ে উঠেন। সেইসঙ্গে উভয়পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। পরে সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। এছাড়া আর তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।
সীমাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গৌর দাস রায় চৌধুরী জানান, আমার দিকে আক্রমণের উদ্দেশ্যে কিছু কর্মীরা এসেছিল। কিন্তু আমি আহত হইনি। তবে ৪/৫জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ