আগামী ১৭ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে রাজবাড়ীতে সমাবেশ করবে জেলা বিএনপি। সেই সভা সফল করার জন্য মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রাজবাড়ী জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সভা আহ্বান করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতারা।
কিন্তু প্রশাসন থেকে অনুমতি না মেলায় সেই সভা করতে পারেনি রাজবাড়ী জেলা বিএনপির নেতারা। এ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের কলেজ রোডের বাসায় জমায়েত হয় কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সভার অনুমতি না মেলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে ২/৩ হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয় গোয়ালন্দ মোড় এলাকায়। লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে পথসভায় বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিঙ্কু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাসুকুর রহমান মাসুক ও মো. সেলিমুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজবাড়ী বিএনপির কার্যালয়ে আসেন আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আলম দুলাল, আফসার আলী সরদারসহ বিএনপির ৬০-৭০ জন নেতাকর্মী। কার্যালয় তালাবদ্ধ হওয়ার কারণে তারা হতাশ হয়ে পড়েন এবং সভা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আলম দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি জেলা বিএনপিকে ধ্বংস করে যাচ্ছেন। তারা পুলিশের সাথে আপস করে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সভা বাতিল করেছেন। মূলত আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বাসার হাজার হাজার নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়বে সেই ভয়ে তারা সভা বাতিল করেছেন। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি আওয়ামী লীগের এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন।
অন্যদিকে, বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী দাবি করেন, আমি ৪/৫ হাজার লোক নিয়ে গোয়ালন্দ মোড়ে একটি সফল সভা করেছি। আমার সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রেখেছেন। আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মপন্থী নেতারা তার উদ্দেশে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি মনগড়া। আমরা যখন সভা করার অনুমতি পাইনি, তখন আমরা হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে গোয়ালন্দ মোড়ে সভা করেছি।
সভার ব্যাপারে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, আমি সময়মতো রাজবাড়ীতে সভা করার জন্য ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছিলাম। দুইটার কিছুক্ষণ পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যা গোয়ালন্দ মোড় থেকে আমাকে রাজবাড়ীতে প্রবেশে বাধা দেয়। সেই বাধা উপক্ষো করে রাজবাড়ীতে সভা করা সম্ভব হয়নি। তবে গোয়ালন্দ মোড়ে বড় ধরনের একটি সমাবেশ করেছি।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহদত হোসেন বলেন, আমি আমার জরুরি একটি কাজে ঢাকা আছি। বিএনপির সভা-সমাবেশের বিষয়টি আমার জানা নেই।
বিডি প্রতিদিন/এমআই