নোয়াখালীর সেনবাগে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সেনবাগ থানার তিন পুলিশ ও দুই গ্রাম পুলিশ আহত হয়েছে। ঘটনার দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা পর কুমিল্লার লাঙ্গলকোর্ট উপজেলার চাঁদপুর এলাকা থেকে আসামি মনির হোসেনকে (৩৫) হ্যান্ডকাপসহ পুনরায় গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামি সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর শ্রীপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছিলোনীয়া পাড়া এলাকার রুকু মিয়ার ছেলে। তিনি তেজগাঁও থানার দস্যুতা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
আহতরা হচ্ছেন-সেনবাগ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন, এএসআই শ্রীবাস, কনস্টেবল রুনি বড়ুয়া ও গ্রাম পুলিশ আবদুল মান্নান এবং সুজন পাল। আহতদের সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর গ্রেফতার আসামি মনির হোসেনকে রবিবার দুপুরে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছিলোনীয়া পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হ্যান্ডকাপ পরিয়ে তাকে থানায় আনার পথে স্থানীয় দুই ইউপি মেম্বার মহিন উদ্দিন ও তার স্ত্রী মহিলা মেম্বার হোসনে আরার নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জনের একদল সন্ত্রাসী পুলিশের ওপর অতর্কিত লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাপসহ আসামি মনিরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এতে পুলিশের তিন সদস্য ও দুই গ্রাম পুলিশ আহত হয়। ঘটনার পর অভিযানের দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা পর পার্শ্ববর্তী কুমিল্লার লাঙ্গলকোর্ট উপজেলার চাঁদপুর এলাকা থেকে আসামি মনির হোসেনকে হ্যান্ডকাপসহ পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওসি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি মনির হোসেনকে রবিবার দুপুরে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই