লক্ষ্মীপুরে পরিবারের অস্বচ্ছলতা মেটাতে অটোরিকশায় জীবিকা নির্বাহ করা সেই কিশোর ইয়াছিনের পরিবার এখন সম্পূর্ণ ঋণের বোঝা মুক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালু করে এখন নতুনভাবে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করবে ইয়াছিন। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ায় ভরসা গ্রুপ ও জেলা পুলিশ। এর আগে তার অটোরিকশা চুরির ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দৃষ্টি কাড়ে সবার।
জানা যায়, সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ফলোয়ান মসজিদ এলাকা থেকে যাত্রী সেজে কৌশলে কিশোর ইয়াছিনের অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। পরে হতবিহ্বল হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে ইয়াছিন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) তার কান্না ও পরিবারের অস্বচ্ছলতা ফুটে উঠে। অটোরিক্সা ফিরে পেতে সদর থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে আকুতি জানান ভুক্তভোগী কিশোর। খবর পেয়ে মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসে ভরসা গ্রুপসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান ও জেলা পুলিশ। এদিন জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ, সদর সার্কেল মিমতানুর রহমান, সদর থানার ওসি জসীম উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, ভরসা গ্রুপের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম তাদের বাড়ীতে ছুটে যান।
এসময় স্থানীয় একাধিক এনজিওর কাছ থেকে নেয়া ৩৬ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ করা হয়। একই সঙ্গে নতুনভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য আরো নগদ ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, একটি অসহায় পরিবার ও কিশোরের চুরি হওয়ার খবর পজেটিভ সাংবাদিকতার নিদর্শন। চুরি হওয়া অটোরিক্সা উদ্ধারে ও ভুক্তভোগী পরিবারের সার্বিক তত্তাবধানে আছে পুলিশ।
ভরসা গ্রুপের প্রতিনিধি জানান, কিশোরের চুরি হওয়া রিক্সার ঘটনা ও তার পরিবারের অস্বচ্ছলতার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হওয়ার পর আমাদের নজরে আসে। মানবিক বিবেচনায় তার পরিবার ঘুরে দাঁড়াতে আমাদের ক্ষুদ্র এ প্রচেষ্টা।
বিডি প্রতিদিন/এএ