গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নার্গিস আক্তার নামে এক শিক্ষিকাকে বাড়িতে রুমের মধ্যে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার সকালে ভুক্তভোগীকে সহকর্মীরা দ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে এ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, আহত শিক্ষিকা কালিয়াকৈর উপজেলার কোটবাড়ি এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে নার্গিস আক্তার। তিনি উপজেলার নামাশুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর আগে কালিয়াকৈর উপজেলার লতিফপুর এলাকার ছানোয়ার হোসেনের ছেলে পারভেজ রানার সাথে পারিবারিকভাবে নার্গিস আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবনে এক বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী পারভেজ তার স্ত্রী নার্গিসের কাছে বিভিন্ন সময় টাকা-পয়সা দাবি করে আসছে। ওই চাহিদা মত টাকা না দেওয়ায় স্বামী পারভেজ ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় তাকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছেন। এ ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাতে স্বামী পারভেজ তার স্ত্রী নার্গিসকে লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারধর করে। ব্যথায় কাতর ওই শিক্ষিকা ডাক-চিৎকার করলেও তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে ঘরের ভিতরে আটকে রাখেন পাষন্ড স্বামী পারভেজ।
কালিয়াকৈর থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, ‘এ ঘটনায় নির্যাতিতা শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলাম জানান, ওই শিক্ষিকাকে নির্যাতনের পর আটকে রাখার খবর পেয়ে শিক্ষকদের সেখানে পাঠানো হয়। শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক