দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজ। শহরের ফলের দোকানগুলোতে তরমুজ প্রচুর পরিমাণে এলেও দাম চড়া। তাই স্বল্প আয়ের বেশির ভাগ মানুষের এই ফল কিনতে পারছেন না।
এদিকে আবহাওয়া রাতে ঠাণ্ডা, দিনে গরম হওয়ায় বিক্রি কম হচ্ছে। তবে বিক্রির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে বলে বলে জানান বিক্রেতারা।
দিনাজপুর শহর, ফুলবাড়ী, হাকিমপুরসহ বিভিন্ন উপজেলা শহরের বাজার এবং সড়কের পাশে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফলের দোকানগুলোতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে।
ফুলবাড়ীর ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, ‘বাজারে নতুন ফল উঠলে সবার মন চায় তা খেতে, কিন্তু ইচ্ছে থাকলে আর কি হবে! আমাদের আয় বুঝে ব্যয় করতে হয়, তাই হিসেব করে চলতে হয়, সে কারণেই এতো দাম দিয়ে ফল কিনে খাওয়া সম্ভব নয়।’
রিক্সা চালক শফিক বলেন, ‘চোখের সামনে নতুন ফল দেখে ছেলে মেয়েদের জন্য কিনতে ইচ্ছা হলেও দাম বেশি তাই কিনতে পারছি না।’
ফল ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী জানান, বর্তমানে বাজারে পতেঙ্গা, কুয়াকাটা বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার মোকাম থেকে কালো ও বাংলা লিংক জাতের এই তরমুজ কিনে আনছেন তারা। মোকামে তরমুজের আমদানী থাকলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বেচতে হচ্ছে।
তরমুজ বিক্রেতা মাহবুব আলম বলেন, ‘প্রতিবছর এই মৌসুমি ফলের ব্যবসা করি। এ অঞ্চলে তরমুজের আবাদ তেমন হয় না। কয়েকটি এলাকাতে আবাদ হলেও এই সময়ে বাজারে আসে না। আমরা বরিশাল থেকে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করি। এর স্বাদ ভালো থাকায় বাজারে চাহিদা আছে। দুইদিন ধরে বিক্রি করছি। বেচাকেনা এখনও সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে রমজান মাসে বেচাকেনা জমে উঠবে। আগাম হওয়ায় তরমুজের দাম কিছুটা বেশি।’
তিনি আরও জানান, বড় আকারের তরমুজ প্রতিকেজি ৬০ টাকা এবং ছোট আকারের তরমুজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি তরমুজে খরচ বাদ দিয়ে ১৫-২০ টাকা করে লাভ থাকছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল