বাগেরহাটের মোংলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সেই তিন যুবকের পরিবারে আর কোনো পুত্র সন্তান নেই। নিহত তিনজনই ছিলেন তিন পরিবারের একমাত্র ছেলে সন্তান।
গত বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মোংলার মৌখালী ব্রিজের কাছে বিদ্যুতের খাম্বার সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহত সাকিবের একটি মাত্র ছোট বোন সাহারা আক্তার (৬)। সাকিবের অপর পাঁচ চাচার ঘরেও আর কোনো ছেলে সন্তান নেই। এছাড়া নিহত সাকিবের মামাত ভাই বায়জিদ ও জাকারিয়াও ছিলেন সংসারের একমাত্র ছেলে সন্তান।
নিহতদের স্বজনরা জানান, মোংলায় মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে মামাত ভাই বায়জিদের সঙ্গে মেলা দেখতে যান সাকিব। সঙ্গে যান বায়জিদের দোকানের কর্মচারি জাকারিয়াও (২২)। নতুন সিবিজেড মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন বায়জিদ নিজে।
সাকিব ২০১৯ সালে মোরেলগঞ্জ এসিলাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.৮৫ পেয়ে এসএসসি পাশ এবং ২০২১ সালে সরকারি এসএম কলেজের কারিগরি বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.৬৮ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সাকিব ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলেন। কলেজে ভর্তির জন্য রবিবার খুলনায় যাওয়ার কথা ছিল তার।
মা সুরমা বেগম বলেন, সাকিবের কোনো বাড়তি চাহিদা ছিল না। কখনো ২০ টাকার বেশি চায়নি সে। মোংলায় যাবার সময় ৪টি কবুতর বিক্রি করে খরচের টাকা জোগাড় করেছিল। বুধবার ফোনে সে বলেছিল, ‘মা, চিন্তা করোনা আমি বৃহস্পতিবার ফিরে আসব। তার মায়ের আক্ষেপ, ছেলে বৃহস্পতিবার আসলো ঠিকই, কিন্তু জীবিত নয় তার লাশ!
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল