কুমিল্লার দেবীদ্বারে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রুমী আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি বারুর গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে এমরান হোসেনের স্ত্রী।
এ ঘটনায় রুমী আক্তারের স্বামী মো. এমরান ও ভাসুর মো. কালু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবীদ্বার থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, দেবীদ্বার উপজেলার জাফগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ নারায়ণপুর (ছগুরা) গ্রামের মাদারবক্সী বাড়ির মৃত সাহেব আলীর মেয়ে রুমি আক্তারের সাথে একই ইউনিয়নের বারুর গ্রামে আসকের বাড়ির আবদুল আজিজের ২য় স্ত্রীর প্রথম সন্তান মো. এমরান হোসেনের ৬ মাস পূর্বে বিয়ে হয়। রুমী বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
নিহতের ভাই মো. নুরুল ইসলাম জানান, বিয়েতে স্বর্ণালংকার ও ১ লাখ টাকা যৌতুক দিতে হয়। ২০ হাজার টাকা বাকি ছিল। ওই টাকার জন্য স্বামী তাকে নির্যাতন করতো। টাকা না দেওয়ায় রাতে তাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে। রুমীর গলায় ফাঁস থাকলেও পা মাটিতে লাগানো ছিল। এটা দেখে মনে হচ্ছে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী ও তার বড় ভাইকে আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর