লালমনিরহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবারো মোটর শ্রমিকের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় গেলে তার উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার খবর ছড়িয়ে পড়লে বুলবুল সমর্থকরা শহরের মিশনমোড়ে অবস্থান নিয়ে লালমনিরহাট-বুড়িমারি মহাসড়ক অবরোধ করে।
এসময় শুরু হয় দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। অবস্থার বেগতিক দেখে পুলিশ উভয় পক্ষে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আরো ৫ জনসহ ৬ জন আহত হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহা আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে রবিবার রাতে শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান কমিটির সমর্থকরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল হকের বিনিময় তেলের পাম্পে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। তারই জের ধরে আজকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিনের পুরাতন কমিটি দিয়ে চলছে লালমনিরহাট বাস মিনিবাস শ্রমিক সংগঠন। পুরাতন কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সম্পাদক বুলবুল শ্রমিকদের কার্যালয়ের জন্য ক্রয় করা জমি গোপনে বিক্রি করে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভ তৈরী হয় এবং দুইটি ভাগে বিভক্ত হয় শ্রমিকরা। পুরাতন ও মেয়াদত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্তের দাবিতে
গত তিনদিন ধরে লালমনিরহাট শহরে দুই দল শ্রমিক মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। ঘটেছে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও।
পূর্বের সংঘর্ষের ঘটনায় শিফাত হোসেন মুন্না নামে একজন সাধারণ শ্রমিক বাদী হয়ে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদকে প্রধান করে ৬ জনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল