সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালেয়শিয়া যাওয়ার সময় কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে উদ্ধার ১৪৯ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসান চরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে তিনটি বাসে করে ভাসান চরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার চট্রগ্রাম থেকে তাদের নোয়াখালীর ভাসান চরে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ, ৭৮ জন নারী ও ২৩ জন শিশু।
সোমবার বিকেলে মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে এসব রোহিঙ্গাকে মহেশখালী থানার পুলিশ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা দালালদের সহযোগীতায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সোনাদিয়া দ্বীপে জড়ো করছিল বলে জানান পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে থেকে এসব রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একটি বড় ইঞ্জিন চালিত বোটে তুলে দালাল চক্র। পরে তাদের সোমবার দুপুরে মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে নামিয়ে দিয়ে দালাল চক্র বোট নিয়ে পালিয়ে যায়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে প্রথমে ১৩৫ জন ও রাতে আরো ১৪ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উদ্ধার এসব রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসান চরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দালালরা কৌশলে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া নিয়ে যেতে মহেশখালীর সোনাদিয়ায় জড়ো করে। এসময় খবর পেয়ে মহেশখালী থানার পুলিশ সোনাদিয়া দ্বীপে অভিযান পরিচালনা করে এসব রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে। দালালের সহযোগিতায় তাদের ইঞ্জিন বোটে করে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল বলে জানাগেছে।
ইতিপূর্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ২২ হাজারেরও অধিক রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে স্থানান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ