ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় তিনটি বাড়ি ও দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজনা থামাতে বর্তমানে ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া ও চৌকিঘাটা গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবত উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঘারুয়া গ্রামের রমজান মাতুব্বরের ছেলে সজিব মাতুব্বর (১৮) এর সাথে একই গ্রামের চুন্নু মাতুব্বরের ছেলে ইমন মাতুব্বরের (১৯) হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রমজান মাতুব্বর ছেলের পক্ষ নিয়ে ইমন মাতুব্বরকে মারধর করে।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে দুই পক্ষের শত শত লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ঘারুয়া বাজারের পাশের মাজেদ ফকির, কাদের মুন্সী ও সৈয়দ আলী মুন্সীর বাড়ি ও ঘারুয়া বাজারের ওবায়দুর মোল্লা, ফরহাদ মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে দুইপক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।
ঘারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্লা বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সালিশ বৈঠকের কথা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাড়ি, ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা